হাছান মাহমুদ সুজন, কুতুবদিয়া:

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় অপহরণের ৩৬ ঘন্টা পর অপহৃত ১৪বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।

গত (৭-ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মদুনা -ঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সে সাথে অপহরণের এঘটনায় জড়িত মামলার ২নং আসামীকে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন এর আমজাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৭-ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট ধুপপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দক্ষিণ মাদার্শা গ্রামের আবদুল সামাদের ছেলে মোঃ আবদুল মাবুদ প্রকাশ মাহবুব(৩৭), ও মহেশখালী থানার কালারমারছড়া ইউনুছ খালী (পাহাড়তলী) গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে জয়নাল আবেদীন(৩০)।

এর আগে গত ৫-ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজ হলে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোঃ আবদুল মাবুদ প্রকাশ মাহবুব (৩৭)সহ ২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন রেখে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জি.আর ১১৪/২২ইং এবং কুতুবদিয়া থানার মামলা নম্বর-৩।

সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮-ডিসেম্বর) গ্রেফতারকৃত ১নং আসামীকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে কুতুবদিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপর আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা র্দীঘদিন যাবত ভিকটিমের বাড়ীর পাশে জনৈক বাদশার বাড়ীতে অবস্থান করিয়া বৈদ্যের কাজ করিয়া আসিতেছে। সেই সুবাদে আসামীদের সাথে ভিকটিম/বাদীর পরিবারের সাথে পরিচয় হয়। বাদীর মেয়ে (ভিকটিম) স্থানীয় গাউছিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।

বাদীর মেয়েকে ২নং আসামী জয়নাল আবেদীন এর সহায়তায় ১নং আসামী আবদুল মাবুদ প্রকাশ মাহবুব বৈদ্য গত ৫-ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বাদীর মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ফুসলাইয়া গাড়ী যোগে অপহরণ করে চট্টগ্রামের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

মামলার ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করে ভিকটিমসহ দু’জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।